দৃশ্য ৪ INT. COFFEE SHOP. DAY (একটি কফিশপের ভেতরে প্রণয় আর মানেকা বসে । প্রণয় কফিতে চুমুক দেয় ।) প্রণয়ঃ আপনি কি সত্যিই আমাকে ওরম ভাবলেন? মানেকাঃ কীরম ভাবলাম? প্রণয়ঃ এই ভাল ভাল কথা বলে মেয়ে পটিয়ে আসলে আমি সেক্স করতে চাই (মানেকার ঠোঁটের কোণে হালকা দুষ্টুমি ফুটে ওঠে ।) মানেকাঃ কেন চান না? প্রণয়ঃ না মানেকাঃ ওসবের উর্দ্ধে উঠে গেছেন বুঝি? প্রণয়ঃ না না। মানে আমি নরমাল । মানে সেক্স করতে চাই । মানে চাই না । মানে । আমি ঠিক বোঝাতে পারছি না (মানেকা হাত তুলে প্রণয়কে থামিয়ে দেয় ।) মানেকাঃ বাঙালী ছেলেদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী জানেন? প্রণয়ঃ না। মানেকাঃ আপনারা কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে গেলেই হঠাৎ করে প্রচন্ড বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান । প্রতি মুহুর্তে কিছু স্মার্ট কথা বলার চেষ্টা করে চলেন । যেন আপনার স্মার্টনেসের মধ্যেই রয়েছে আপনার যাবতীয় চার্ম । আদপেও বোঝেন না যে ওসব করতে গিয়ে আরো বোকা হয়ে চলেছেন । Why can’t you people just be yourself? প্রণয়ঃ আমি তো এখানে আপনার সাথে ডেটে আসিনি মানেকাঃ এই দেখুন । সেই জোর করে স্মার্ট হবার চেষ্টা । একটা কিছু দিতে হবে । সার্কাসম মাখানো চারটে মিনিংলেস কথাবার্তা । প্রণয়ঃ তাহলে কী করব? মানেকাঃ নিজের কাজটা ঠিকমত করুন না মশাই । একজন মানুষ হিসেবে যেটা আপনার সাধারণ দায়িত্ব সেটুকু পালন করলেই হবে । নারিবাদ চোদানোরও দরকার নেই, কার্টেসি দেখানোরও নয় । মেয়েদেরকে মানুষ হিসেবেই ট্রিট করুন না । তাহলেই হবে । স্পেশাল অ্যাটেনশন চাইনি তো আপনাদের কাছে । এনডেঞ্জারড স্পিসিস নাকি যে অভয়ারণ্য বানিয়ে সংরক্ষণ দিতে হবে? স্বাভাবিক ব্যবহার চেয়েছি । একজন মানুষের কাছে মানুষের মত । সেটুকুই করুন । অবিশ্যি যে দেশে এখনো অধিকাংশ পুরুষ মানুষের কাছে বাড়ির ছাদের অর্থ মায়ের আঁচল তাদের কাছ থেকে বিশেষ ম্যাচিউরিটির আশা রাখাটাও অনাবশ্যক । প্রণয়ঃ ওরে বাবা। আপনি তো রেগে গেলেন মানেকাঃ সরি । মাঝে মাঝে একটু অতীত সামনে চলে আসে । প্রণয়ঃ ডিস্টার্বিং অতীত? মানেকাঃ ওসব ছাড়ুন । আপনার আইডিয়াটা ভাল । এক্সিকিউট করতে আপনার সাহায্য করতে পারি ।